তিন খেলোয়াড়কে ফ্ল্যাট- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকার মিরপুরে তিনটি আবাসিক ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিয়েছেন। জাতীয় ফুটবল ও হকি দলের সাবেক তিন খেলোয়াড়কে এ ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড় ও তাদের পরিবারের কাছে তাদের ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলাদেশের ফুটবল ও হকিতে জাতীয় দলের দুই ফুটবলার ও একজন হকি খেলোয়াড়ের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ ফ্ল্যাটগুলো দিয়েছেন।
ফ্ল্যাটপ্রাপ্তরা হলেন প্রয়াত ফুটবলার মোনেম মুন্নার পরিবার, জাতীয় ফুটবল দল ও আবাহনী লিমিটেডের সাবেক খেলোয়াড় শেখ আশ্রাফ আলী ও জাতীয় হকি দলের প্রয়াত খেলোয়াড় জাহিদুর রহমান পুশকিনের পরিবার।
প্রয়াত ফুটবলার মোনেম মুন্নার পক্ষে তার স্ত্রী ইয়াসমীন মোনেম এবং হকি খেলোয়ার জাহিদুর রহমান পুশকিনের পক্ষে তার স্ত্রী ফাহমিদা রহমানের কাছে ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করেন। এছাড়া জাতীয় ফুটবলার আবাহনীর সাবেক খেলোয়াড় শেখ আশ্রাফ আলীর কাছে তার ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করেন।
ফ্ল্যাট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন, সাবেক ফুটবলার ও সাংসদ আব্দুস সলাম মুর্শেদী, বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ এবং বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম সোহাগ।
নানা গুণের ডাবের পানি
ডাবের পানি যাকে প্রাকৃতিক স্যালাইন বলা হয়। পানীয় হিসাবে ডাবের পানি অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশেষ করে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপসমূহ, এবং ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
মাটির গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে ডাবের পানির স্বাদ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেমন, ভারতের ডাব মিষ্টি হয়। কিন্তু ব্রাজিলের ডাব হয় একটু পানসে।
আবার বাংলাদেশের ডাবের পানি বেশ মিষ্টি হয়, সঙ্গে হালকা নোনতা স্বাদ থাকে।
তবে স্বাদ যাই হোক বিজ্ঞান বলে ডাবের পানিতে প্রতি ১০০ গ্রামে ১৬.৭ ক্যালোরি তথা ৭০ কিলো জুল খাদ্যশক্তি রয়েছে। আর এর রয়েছে বহু গুনাগুন।
জেনে নিন ডাবের পানির ১০ উপকারিতা:
১. ডিহাইড্রেশনে : এটি ডাবের পানির প্রথম উপকারি দিক। স্যালাইনের সুবিধা নেই এমন স্থানে ডাবের পানিকেই চিকিৎসকরা স্যালাইন হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন।
অতিরিক্ত গরমে বমি বা ঘামে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে গেলে ডাবের পানি খেয়ে তাৎক্ষণিক এই পানির ঘাটতি পূরণ করা যায়। এর কার্বোহাইড্রেড দেহের শক্তি বাড়ায়।
২. রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে : রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানি বেশ কার্যকরী। কারণ এতে আছে ম্যাগনেসিয়াম , পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি যা ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. হার্ট ভালো রাখতে: ডাবের পানি হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটা প্রমাণিত, ডাবের পানি হার্ট অ্যাটার্কের সম্ভবনা অনেকটা কমায়। এটি হাইপারটেনশনও কমায়।
৪. হাড় গড়নে : হাড়কে মজবুত রাখার জন্য দরকার ক্যালসিয়াম ও আরও অনেক পুষ্টিগুণ।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ডাবের পানিতে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম আছে তা হাড়ের জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। এর ম্যাগনেসিয়াম হাড়কে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৫. চুল ভালো রাখতে: চুলকে ভালো রাখতে ডাবের পানি ব্যবহার করছেন অনেকে। প্রাকৃতিক কন্ডিশানারের কাজ করে এটি।
চুলকে রুক্ষ হয়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা করে ডাবের পানি। চুলকে চকচকে ও নরম করে খুসকি সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে এটি।
এছাড়াও ডাবের পানি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। তার ফলে চুল কম পরে।
৬. স্যান ট্যান সমস্যায় : এবার আসা যাক ত্বকের জন্য ডাবের পানি কতটুকু উপকারি। সান ট্যানের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ডাবের পানি বেশ উপকারী। কারণ এটি প্রাকৃতিক ট্যান রিমুভারের মত কাজ করে।
৭. টোনার হিসেবে: প্রাকৃতিক টোনার হিসাবে ডাবের পানি উত্তম। এটি স্কিনে পিগমেনটেশন, ব্লেমিসেস দূর করে।
৮. স্কিন ইনফেকশনে : ডাবের পানি চামড়ার (স্কিন) ইনফেকশন কমায়। কারণ এতে আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ।
৯. অয়েলি স্কিন সমস্যায় : ডাবের পানি ত্বককে চকচকে করার পাশাপাশি এটি প্রাকৃতিক ময়েশচারের কাজ করে। তৈলাক্ত ত্বক পরিস্কার করতে ডাবের পানিকে ব্যবহার করে থাকেন অনেকই।
১০. উজ্জল ত্বকের জন্য : আমরা হয়তো অনেকে জানি না গ্লোয়িং স্কিনের একটি রহস্য হল ডাবের জল। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ভেতর থেকে তরতাজা রাখে এবং ত্বক আস্তে আস্তে উজ্জ্বল হয়। যদি রোজ ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুলে শ্যাম বর্ণ ফরসা হতে তেমন সময় লাগেনা।